প্রামাণ্য কিছু নেই
অনিন্দিতা ভৌমিক
(৫)
“ মাঝে মাঝে তব দেখা পাই…” আর শুকনো পাতা জমে ওঠে টেবিলে। শৈলী ও আকারগত ব্যবধানকে দূরে রেখেমঞ্চে ঢুকে পড়ে দীর্ঘকায় কাচ- যার বৈধতা রক্ষার দায় সামান্য হুইস্কি আশ্রিত।
#
বিষাদ অথবা কোনো ফুলস্কেপ মৌনতা
নিচে অনেকটা স্লোপ
ছাতিম ফুলের ঝুরঝুর
ও তার জননবৃত্তান্ত আমি কুড়িয়েছি স্পষ্টতা ছাড়াই
#
ভাদর-আশ্বিনে আরও কিছু অবসরে ডাকব তোমাকে
কাঠের রেকাবিতে তুলে দেব পুঁজ-রক্ত-রস
#
১৯৮৬ সাল
একতরফা হয়ে যাচ্ছে ঘরবাড়ি
লাল টিপে নেমে আসা পুরনো গানের শট
(৬)
ভ্রূক্ষেপ ছিল। আর এতোটাই ঝরে পড়া যে নদীকেন্দ্রিক এই হিম দীর্ঘ হয়ে ওঠে আকাচা শাড়িতে।আমার অবসেশন। রেলিং দিয়ে ঢুকে যাচ্ছে টানা বাক্যালাপ, অনেকেরই আসার কথা...
#
গান বাজছে
নিতান্ত একপেশে হয়ে যাচ্ছে রাস্তার মোড়
মিথ ভাঙতে গিয়ে যা কাটাছেঁড়ার ভেতর চলে গেল
#
সোলো গানে তখনও অনেক দূর
পাইনের মাথা
মদের টেবিলে ছুঁয়ে থাকা ন্যারেটিভ শেড- সারারাত রাস্তায়
দেখা হয় দেখা হতেই থাকে উহ্য কানাগলি
খুব নীলচে রঙের
#
কিছু তো খড়কুটো থাকুক গল্পে
#
এখানে নিরাময় কয়েকটা চরিত্রের নাম
সজনে ফুল অথবা
ঘুম ভেঙে মেঘলা খুঁজছে S9 বাস
যেন অগ্রহায়ণ
আর ঠিক যেরকম চেয়েছিলে ক্যানভাসে
(৭)
ফিরে আসা তো নির্মিত ধারণা বিশেষসরনবিন্দুর পরিবর্তিত অবস্থান ধরে রাখে আনুগত্যের কথা
সকাল সাতটার বিজ্ঞাপনের কথা
তারপর উৎসব
40% ফরম্যালিনে গাঢ় হয়ে আসছে ঠোঁট
শব্দের প্রতি তোমার নুনমাত্রা
#
সামাজিক জাস্টিফিকেশান ছাড়া ধীরে ধীরে হেমসেলাই হয়ে গেছে যে ভোর
তার পার্কিং লটে এখন শুধুই নিভৃতি
অথবা বাদামি আলোর সেই গ্রীক কিশোরী
যার পৌরাণিকতার দিকে তাকিয়ে সমবেতভাবে বলে উঠি “শোকর আলহামদুলিল্লাহ”
পুরোটা ইমোশনাল পুরোটা স্নায়বিক
(৮)
সময়ের গতি বা বিক্ষেপ নিয়ে কোনো মন্তব্য ছিল নাআলো বলতে কেবল দরজার ওপাশ
নিভু নিভু হ্যারিকেন থেকে ছিটকে আসা মার্বেলগুলো
তখন খুব একা
ভাত গলে যাওয়ার মতো নেপথ্য
অথচ ছুটির দুপুরে লালশাক মেখে আমরা
এখনও সেই হলিডে হোম
#
বিকেল হলো না যেখানে কিছুতেই
No comments:
Post a Comment