বারীন ঘোষাল

রবিন বাবুর ঘড়ি

বারীন ঘোষাল  


২০০৪-এর জুলাই মাসের শেষের দিকে দিল্লী গেছি। প্রতিবছরই দু একবার যাই। আমার ছেলে তখন কলেজে পড়ে দিল্লীতে। মূলত তার সঙ্গে দেখা করার জন্য। হঠাৎ টেলফোন রবিনদার। রবিনদার, বলতে গেলে, চ্যালা আমি। কৌরব যখন শুরু করি, পত্রিকা, ১৯৭১ সাল, আমি আর অরুণ আইন জামশেদপুর থেকে চলে গেলাম দুর্গাপুর। তখন গল্প লিখি। রবীন্দ্র গুহ আমার প্রিয় গল্পকার তখন থেকেই। নিমসাহিত্য আন্দোলন আর পত্রিকা বেরোচ্ছে দুর্গাপুর থেকে। রবিনদা মধ্যমণি। গিয়ে তার বাড়ি। সেই সুত্রে নিমসাহিত্যের সবার সাথে পরিচয়। সেই থেকে তার ছায়া ছাড়িনি। সেদিন, ২০০৪ জুলাইয়ে ওনার ফোন পেয়ে এসব ভাবছিলাম। আসতে চান জরুরি দেখা করতে চান। হুকুম নয়, অনুরোধের সুর। থাকেন গুরগাঁও-এ। সেখান থেকে গাড়িতে চিত্তরঞ্জন পার্কে আসতেও লাগে ঘন্টাখানেক। তিনি নিজে চালান না। ড্রাইভার আছে। আমি সাত পাঁচ ভাবছি কিসের এত আর্জেন্সি ! একসময় এসে পড়লেন।
    রবিনদাকে ম্রিয়মান লাগলো। গলার স্বরে উদ্বেগ, খাটো। কিছু একটা ঘটেছে। বলি,
    --- কী হয়েছে রবিনদা ? কেমন আছো ? গড়বড় লাগছে।
    উনি সোজা বললেন --- তোমার ব্লাড গ্রুপ কী, বারীন ?
    আমি অবাক। এটা আশা করিনি। আমি বললাম আমার A (+)।
    রবিনদা হাঁপ ছাড়লেন। --- বাঁচা গেল। তোমার রক্ত দেবে আমাকে ?
    --- যত চাই দেবো। কী হয়েছে বলুন ?
    --- আমার বাইপাস হবে। ফ্রেশ ব্লাড চাই। কেউ কেউ রাজি হয়েছে। তুমিও এসো। ২০ তারিখ সকাল ন’টার আগে, গঙ্গারাম হাসপাতালে।

    আমি বলি --- নো প্রবলেম। রক্ত দেবার অভ্যাস আছে। ৫০ বারের বেশি দিয়েছি। মেডেল আছে। আমি আর কমল প্রতি মাসে শুক্রবার রক্ত দিয়ে চলে যেতাম কলকাতা। তিনদিন বেড়িয়ে ফিরে আসতাম সোমবার সকালে। ঠিক পৌঁছে যাবো সকাল নটায়। মনে সাহস রাখো। সব ঠিক হয়ে যাবে।

    তবে রবিনদাকে মনে হল ভীত। এটাই বোধহয় স্বাভাবিক। যার বাইপাস হবে তার মানসিক অবস্থা আন্দাজ করা যায় না। ভেবেও লাভ নেই। কিছুক্ষণ গল্প করলাম। সব পজিটিভ কথা। মন হাল্কা করার জন্য। রবিনদা তখন ৭০+। এই বয়সে তার প্রেসারের সমস্যার কথা জানতামই না। বেকার আমরা একসাথে ঘুরে বেড়িয়েছি, মাল খেয়েছি, মস্তি করেছি। এই তো সেদিন বটখালি লেকের ধারে রাত কাটিয়ে পান, ভোজন, কবিতার আড্ডা দিয়েছি। আমি, দীপঙ্কর দত্ত, দিলীপ ফৌজদার, আর রবিনদা। যাই হোক, রবিনদাকে গেট থেকে সি-অফ করে ফিরে এলাম।

    বাইপাসের দিন যথাসময়ে গঙ্গারামে পৌঁছে দেখি দিলীপ, দীপঙ্কর, আর রবিনদার ছেলে রাজন উপস্থিত। রক্ত দেবার জন্য আমিই প্রথমে নামলাম। আমাকে চেক করা হল, রক্ত, প্রেসার ইত্যাদি। বয়স জানতে চাইলে বললাম ৫৪ বছর। জানতাম ৫৫ বছরের ওপরে রক্ত নেয় না। আমার তখন সার্টিফিকেট অনুযায়ী ৬০ বছর। মিথ্যা বললাম। রক্ত ম্যাচ করে গেল। গিয়ে সবচেয়ে আগে শুয়ে পড়লাম। রক্ত দেয়া হলে সেটা নিয়ে ছুটে গেল পিয়ন। উঠে কফি খেলাম। দীপঙ্করের রক্ত নিলো না। ওর সুগার আছে। আমার রক্ত ওটিতে পৌঁছে গেল। রবিনদার বাইপাস শুরু হয়ে গেল আমার রক্ত দিয়ে। রক্ত তো দিলাম। আমার রক্ত রবিনদার, আমার গুরুজির শরীরে ঢুকে যাচ্ছে। কত বারই তো রক্ত দিয়েছি আগে। কিন্তু কারো শরীরে ঢুকছে তা এভাবে জানা হয়নি। জীবনের জন্য আমার এই সামান্য অবদান আমাকে ভাবুক করে তুলল। মন আনচান করে উঠল। দীপঙ্কর বসেই ছিল। ওকে বললাম --- দীপু, এখন বাড়ি যেতে ইচ্ছা করছে না। কোথাও ধারেকাছে বেড়িয়ে আসি চল। আজ গিয়ে কাল ফেরা যাবে। বাড়িতে ফোন করে দিচ্ছি। আমরা একবস্ত্রে চলে যাই চল। যাবি ? দীপু সঙ্গে সঙ্গে রাজি। একা থাকে। এসব ব্যাপারে ও সবার আগে থাকে। আমি গিয়ে ওটির কাচের বাইরে দাঁড়িয়ে দেখলাম আমার রক্ত যাচ্ছে পাইপ বেয়ে। সেই ফিলিংটা অদ্ভুত। মনিটারে কম্পন। প্রতি সেকেন্ডে একটু একটু রক্ত। রবিনদা কি টের পাচ্ছে ? চোখ বোজা।

    আমরা I.S.B.T. তে পৌঁছে প্রথমে কিছু খেয়ে বাসের লাইনে দাঁড়ালাম। দীপু জিজ্ঞাসা করল --- কোথায় যাচ্ছি জানতে চাইলে না ? আমি বললাম --- কিছু যায় আসে না। দূরে কোথাও একলা বসে ভাবতে চাই। আমার রোমাঞ্চ হচ্ছে, ভাবনা, অনুভব স্পর্শ করছে, হয়তো কবিতা তৈরি হচ্ছে ভেতরে ভেতরে। এত মথিত হইনি বহুকাল। বাস প্রায় ১৫০ কিমি দূরে, চারঘন্টা পরে, প্রায় ২টোর সময়ে একটা নদীর ব্রিজের কাছে দাঁড়ালে দীপু বলল --- নাও, নামো। ওর সাথে আমিও নেমে এলাম। দেখি একটা বেশ বড় নদী। এটা নাকি গড়গঙ্গা। মূল গঙ্গার একটা শাখা। আমরা নিচে নেমে এলাম। একটা ছোট জনবসতি। খুঁজে পেতে দীপুই একটা ধর্মশালায় ঘর ভাড়া নিয়ে ঢুকলো। কবিতার চাপে আমার সমস্ত বাহ্যিক অনুভব ব্লান্ট হয়ে গেছে। আমি কেবল রবিনদার কথা ভেবে যাচ্ছি। ওটিতে শোয়া রবিনদার মনিটারের কথা।

    এবার আমরা লাঞ্চ খেয়ে নিলাম। কি খেয়েছিলাম, মনে নেই। তারপর ঘরে না ফিরে নদীর দিকে গেলাম। বড় রাস্তার থেকে অনেকটা নিচে, দুপাড় বাঁধানো, কয়েকটা নৌকা বাঁধা, একটা মন্দির, বেনারসের একটা ছোট রেপ্লিকা পাড়ের সাজসজ্জায়। আমি আর দীপু নৌকাতে উঠে গেলাম। আমি সাইডে বসা, ও দাঁড়ানো। একটু দুলছে। সেই অবস্থাতেই সে সংকট মোচন মন্ত্র সুর করে উচ্চারণ করতে থাকল। আমরা রবিনদার কথা একবারও আলোচনা করিনি, অথচ দুজনেরই ফোকাস একদিকে। দীপু বিকেল পর্যন্ত ননস্টপ সংকট মোচনে। কী ভাল লাগছিল সেই ডিভোশন, স্বরের আবেদন, প্রার্থনার বাণী ... ... ...
               বাল সময় রভি ভক্‌শী লিও,  তব্‌ তিনহুঁ লোক ভয়ো আঁধিয়ারো।      
               তাহি সো ত্রাস ভয়ো জগ কো,  য়হ সংকট কাহু সো জাত্‌ না টারো।।
               দেবন আনি করি ভিনতি তব্‌ ,  ছাড়ি দিও রাভি কষ্ট নিবারো।
               কো নহি জানত হ্যায় জগ মে কপি,  সংকটমোচন নাম তিহারো।। .........

শুনছি আর গায়ে কাঁটা দিচ্ছে। মনে দেখতে পাচ্ছি রবিনদা নড়াচড়া করছেন, মনিটারে ঢেউ। কিছুক্ষণ শ্লোক গানের পরে আমি, বিকেল প্রায় দেখে, উঠে পাড়ে গিয়ে মালের সন্ধানে, একটা ভদকা হাফ, হোয়াইট মিসচিফ, নিয়ে, আর একটা বড় জলের বোতল, ফিরে এলাম নৌকায়। বললাম --- দীপু, ভিজিয়ে নে। আরো মনযোগ হবে সংকট মোচনে। দীপু গলা ভিজিয়ে আবার শুরু করলো, ... ... ...

               বালি কি ত্রাস কপিস বসে গিরি, জাত মহাপ্রভু পন্থ নিহারো।
               চৌঁকি মহামুনি শ্রাপ দিও তব্‌ , চাহিয়ে কওন বিচার বিচারো।।

               ক্যাদ্বিজ রূপ নিবায় মহাপ্রভু, সো তুম দাস কে শোক নিবারো।
               কো নহিঁ জানত হ্যায় জগ মেঁ কপি, সংকটমোচন নাম তিহারো।। ......

    অন্ধকারে শুধু মুখে ভদকা আর মন্ত্রোচ্চারণ, শ্লোক। একমনে। দূরে মন্দিরে সন্ধ্যা হয়েছে। ঘন্টা বাজলো। ষোল প্রদীপের আলোদান জ্বালানো হল দুটো। ভক্তরা আরতি শুরু করল। তাদের মুখেও সংকটমোচন। সন্ধ্যা কাঁপছিল যেমন বেনারসে দেখেছি। আমার যে কী ভাল লাগছিল। দীপু আমাকে সাহস আর প্রাণ দিলো। দেখলাম রবিনদা পাশ ফিরতে চাইছেন। আমার মাথায় কবিতার লাইনগুলো তৈরি হচ্ছিল তখন। রবিনদার অপারেশন শুরু হয়েছিল সকাল দশটা দশে। এখন বাজে সন্ধ্যা ৭ টা। ধীরে ধীরে ঘটনা আর ভাবনা অমুর্ত হয়ে আসে কয়েকদিনে। কবিতা শব্দময় হতে থাকে। আমি বাড়ি ফিরে কবিতাগুলো লিখে ফেললাম একনাগাড়ে, টানা ... ... ...

                       রবিন বাবুর ঘড়ি
১০-১০-৩৪
চোখ বড় হতে হতে আকাশ হল
এক বিন্দু জল এঁকেছে কেউ                                                                 
চড়ক গাছ ছাড়ানো                                                                                             
পড়বে কেন                                                                                                        
মেঘ না জেটের গুমগুম ধোঁয়া ভরা 
#
যেতে যেতে দেখি রূপখরা          
ক্ষেতে ক্ষেতে দেখি চোখের চাষ ফুটেছে
আমাদের বাস বাঁশি হলুদ পোশাকে
গ্রামের ম্যারাপ দখল করেছে শহর
ভয়    যেন কী হবে
#
এখানে গাড়ি ফাঁড়ি শম বিশমে নামি
একটা আমাদের পাখি নীল সবুজ খুবলে নাকানি
ছড়িয়ে ভাসা পালক জড়ো করা
পলকা গড়ন গঙ্গা গড়ানো ধাতে তীব্র সিঁথির সুর
একদা হাসপাতাল
                  একদা মুখাগ্নি আকাশে
আজ অনুযোগের ঘুর্ণিতে আমরাই লবেজান হাতে যাই যাই
#
কোন লুকোচুরি না করে বসুন ধরা দিনের কথা লিখেছি
পিঁপড়েকে পিপীলিকা     লোচনকে আঁখি
পদপল্লবে মাটির বয়সী শ্রুত নিশুতের নন্দনা
এই নিশুতি আমাদের একলা করে দিলো
প্যারাম্বুলেটর ঘিরে দাঁড়ালো ভুতুড়ে ছায়া
#
মুছে পরিষ্কার করি রোজনামচা
সিন্ধুহাওয়ার হাপর ডায়েরি দর্শকানি দ্রোণ
খেলা ফেলা গ্রহসমাজের অনাছবি
মেঘে মেঘে কালিদাস
সুদূরের কবিতা গর্জন

১০-১০-৩৫
বাঁজ মেঘের গুমরে আজ চঞ্চলীন
সবার চোখে আকাশি প্ল্যানচেট
বাঁচিয়ে দাও প্রভু
#
এই প্রভু এখন শব্দাচ্ছে গড়গঙ্গায়
বজ্রদেশে তারজালিকা পথের প্রান্তে দাঁড়িয়ে বীর্যবিন্দু
কচি বিজুরির জলাঞ্জলিতে নানানা
কঁওড়ের পকদন্ডী মনে পড়ালো গঞ্জিকাহীন আলো
তারে মারে দন্ডীকাটা বিসর্গের বিন্দুরূপ
পরাণ পারে ইলেকট্রনের ক্ষীণ প্রতিভার খেলা
আমরা নেমে এলাম চরজমিনের আওলিয়া জলস্রোতে
#
সমাপ্তি যখন হীন হতে হতে কাহিনীর সংকটমোচন
স্তব পড়ছে দীপঙ্কর সাঁতারের পরের সাঁতারে
ক্ষুদ্র রুদ্র হয়ে সবই মনে হচ্ছে অকরুণ বোমার বোমারু
জলে আকাশে বড় হতে ঘুম
#
চারিদিকে ব্রেকের শব্দ অকেজো আঁধার
এক বিন্দু বিজলীর খসে পড়া যৌন চমৎদাগে দেখা
সন্ত রণ শিরা সুরা স্নায়ু মোটরের চাবিওলা
রবিনের চাদর চলেছে চড়বে
চেঁচিয়ে বলি – সাদা চাদর নেবে না তোমাকে তুমবিন
জলে আকাশে রঙীন পোশাকে তোমার অচঞ্চল উড়ন খটোলা
বোমা মাশুলের অশ্রু টিপ্পনী সরিয়ে রবিন
দুষ্টু কোরো না
ফিরে এসো প্লিজ

১০-১০-৩৬
বীভৎস গরম
তার ওপরে কারেন্টের তিরোভাব
মিট্টিনাদে স্রোজল মোয়ায় স্লিপ করেছে চোখ
ভস্মরেখা আগুনরতি দিয়াভাস আর মন্দিরের
পাগলাঘন্টার মধ্যে পৃথিবী ভাঙার তারস্বর
#
একটা বধির জীবন জেগে উঠল ঘুমের আকাশে
সময় বিষয়ময়ে মাথাবিদায়ে ভাঙলো সবে পৃথিবী
শহরে বোমারু     দূরে ছায়াশব্দ     চুপিসারে
হৃদয়ে রেখেছে হাত ছুরি কাঁচি সুঁচ সুতো এবং বর্ষাভাবে
পুড়ে যায় বাণীদের প্রতিবাণীগুলো
#
টেবিলে কলম করা তলোয়ার রক্তে মসী দোয়াত
ডায়াসপোড়া বহ্নিমালাই
          শেষ ভোজনের চেয়ার
নিস্তব্ধ চরাচর পেরিয়ে যাচ্ছে ফাঁপা মানুষের উড়ন্ত প্রেসক্রিপশন
#
প্রতীকে প্রতীকে কাটাকুটি খেলার সময় আমরা সহসা হেসেছি
হেরো রবিনকে বলেছি – এসো বুড়ো মন খারাপ করে না
দুঃখটাই সুখ আর হারাটাই জেতা
                          সবাই তো রবিন সেজেছি
এই যে পার্কে সবার সবুজ ফল
       মডার্ন টাইমসের গরু
হাওয়া নেই বহে না এমন শব্দবোনার তার খুলছে রবিন
আমাদের মধ্যে যারা রবিন নয় তারা ঘড়ি খুলে
খুঁজছে আসল রবিনকে

১০-১০-৩৭
মহড়া শেষের মঞ্চে এলোমেলো জিভ সবাই পড়েছে
হোরি দশমীর স্পট গোটানো হচ্ছে মাথায়
ক্যালেন্ডার খোলা দেয়ালে চোখের সিঁদ
যারা পা পড়েছে তারা আর নেই
পশুপালনের শিক্ষা পশুদের সাথে হারিয়ে গেল
বিদেহী গল্পে জাহাজ মিল বারুদ ছোটদের স্কুলবাসগুলো
#
ভাঙা শহরের জলাভাবে মেঘ এসেছে পুঞ্জে পুঁজ হয়ে
ইট পাথরের মাঝে ছোঁয়াচের গানে
মনে বর্ণিত      এক দাউ
#
ধূলো হটলে ছায়াদের আত্মপ্রতিকৃতি
ভুতুড়ে ফুল গন্ধ-অণু শোঁকা চতুস্পদে
রুমুর ঝুমুর এগিয়ে এল রবিন
উঠে দাঁড়ালো শ্রাবণের শ্রীলিঙ্গ
বৃষ্টি ফোঁটায় পরম্পরানো শুরু হল তার মোনিয়াম
#
রবিনের হারমনিগুলোর মধ্যে আমরা
খুঁজে পেলাম শুদ্ধ রবিনকে --- থ্রি চিয়ার্স রবিন
হলোগ্রামে সে বানালো হলোশহর
এবং না বলার মতো পাজি হাসিতে উবে
সে বললো --- ভাসার চেয়ে ডোবা অনেক মজার
পড়তে পড়তে এই পড়াটা হল
এই তিনটে চিয়ার্স জেনো দিল্লী হাটে কেনা
                 
    কবিতাগুলো লিখে সবচেয়ে আগে আমি দীপঙ্করকেই দেখাই, পড়াই। সেই ২০০৪ সালের জুলাই মাস। স্বদেশদা লিখেছিলেন – “ জুলাইয়ের ছুটি লাগে “ --- আমরা জুলাইকে ছুটি দিলাম না। রবিনদাকে ফিরিয়ে আনলাম। রক্ত দিয়ে, স্তব দিয়ে, প্রার্থনা দিয়ে, কবিতা দিয়ে।

    এই সেই কবিতা। 
                                        -------------


    

No comments:

Post a Comment

Facebook Comments