কৃষ্ণামিশ্র ভট্টাচার্য

 

মন্তাজ ডি ডিঃ কবি ও কাঙাল

কৃষ্ণামিশ্র ভট্টাচার্য



৯ মার্চ ২০১৭


"একেকটা রাত আসে ঝড়ের লাগাতার দমকা
কবাটগুলো বেকবজা
ছিটকে যায় অথচ জল নিরুদ্বেগ
জল থেকে খ্রীষ্টাল গীটার গা ঝাড়া-
"
( কবিতাঃ পোতাশ্রয়  কবিঃ দীপঙ্কর দত্ত ) 

করুণ মোমালি চাঁদ । কাশ্মীরের বরফিলা হাওয়া ঘাসে। গাছেদের কিংবা নদীদের কোন ও বাজেট থাকে না। ফুল কিংবা ঝর্ণারা কোনও রূপটান ছাড়াই আলোক মঞ্জরী । দেখতে দেখতে হাওয়া আসে দমকা... পাতাগুলি উড়তে উড়তে চলে যায়... আমিও পেছন পেছন ছুটি...





২০০৩


পর্ব প্রি হোলি রাতআড্ডা
সতেরো নিউ ক্যাম্পাস


পাথরের পরীটির গা বেয়ে ঝর্ণা কৃষ্ণচূড়ার ঝালরে আস্তো খাস্তা চাঁদ । স্মুথলি শেভেন লনে ফরাসডাঙা কার্পেট ঘাসালি। সারমেয় আর মার্জারি শাবক ডিডির কোল ঘেঁষে-চাঁদের দিকে মুখ ফিরিয়ে

অরূপ চৌধুরীঃ
"আমিই অন্ধ আমিই অন্ধকার
চোরা বাজারে হাতবদল একদা লুঠের মাল
আমিই যৌনতার ভাষা"


ডিডিঃ
"আহ্!!কি স্বাদ"

গৌতম দাঃ
 "শৈলেশ্বর ঘোষ"

প্রাণজিঃ
"থর থর করে কাঁপছে পৃথিবী
সাপ খাবে তার নিজেরই ফণা "


দিলীপ দাঃ
"কবিতার ভাষা সহজ অথচ সাংকেতিক "

আমিঃ
"নতুন লেখা...পড়ছি
সন্ত্রাস আর প্রেম বেদনা
হাসান বি র কাঠ বাদামের গাছে বারুদেরা ডিম পাড়ে"


ডিডিঃ
"দারুণ ।ভাল কাজ " ।

আগ্নেয় বসন্তের জাগলারে বাংলাভাষায় পাওয়ার পোয়েট্রির বীজধান ।  প্লেটোর শিল্প সুষমায় ইমেজের ডিপডান্স । ডিডির ডেয়ার ডেভিল ভয়েস আর্তুর রাঁবোর  (Arthur Rimbaud) গমকে গিটকিরি গান পিঙ্গল চামড়ার ঘরবাড়ি টপকে দোল পূর্ণিমার চাঁদ কাঁচের প্লেটে । abstracts, হার্ড হিটিং এফেক্ট এ কবির নদী পাহাড় পাকদণ্ডী পথ ।

"কনিক্যাল আগুন ওঠে ধূসর দর্পণে/ মৃৎলেহী আস্তর কুয়াশা- -"(নখ)

এবড় সহজ পৃথিবী নয় । প্রেমহীন নাকাল, লাথানো থুকানো সংসার । পার্কের বেঞ্চে মা কালী বউ । হাতে আঁশবটি খড়্গ । চাঁদ এবার মাংসের প্লেটে । ককটেল মকটেল ছত্লাকার । দিল্লির শেষ বাস হর্ন বাজিয়ে চলে যায়। কবি চাঁদ মুখো টানটান ঘাসে ভুরু সঙ্গমে রাত কুয়াশা । আমার কোন বনলতা সেন নেই ।




২০০৫ , ০৬, ০৭

পর্বঃধামাল মাদারির খেল হল্লাবোল 


"মোর এক রেতের ভাতার যখন রেত কাবারি কোতলায় লুঙি বান্দে উয়া বৈঠা মোতে যোগিনী চৌষটের দুই হাজার আটচল্লিশ ঝিলিক এঁটুলি তারে ছ্যাঁকা ধরে"

নিমপাতার শেড পাথরের টেবিল । বিজলি গ্রীলের কবিরাজি কাটলেটের খোশবু । দীপঙ্করের কবিতা যেন এই ধ্রুপদী থেকে ফোক জমিন বেয়ে dandyism. ডি ডির কবিতার গতি খিঁচে নেয় আমাদের বিকালের ডায়াসপোরিক সহ আইডেনটিির মেলা বকবক ফ্যাঁচ ফ্যাঁচ ।

একশ আটচল্লিশটা ঘুড়ির ফানুস দিল্লিহাটে। তাঞ্জোর পেইন্টিং এ উছলে ওঠে সাবজেক্টটিভিটি, আঙ্গিক হীনতা এবং ন্যুডিটির তাবৎ বিষয় আশয় । রবীন দা, বারীন দা , সৈয়দ হাসমত জালাল সহ আমরা পুরো দিল্লি হাটার্স । টেবিলে ঝিমোচ্ছে বিসলেরির বোতল- -কফির পেয়ালা- -চুমুকের বিরতিতে কবিতার ধামাল । ইহ সংসার থুক--অঘ্রান বিষিয়ে কবি তুলে আনে ফসলের নব ইস্থেটিক্স । জামদানি শাড়ির ভাঁজে ক্যকফনিক সন্ধ্যা- -আই এন এ মার্কেটের ফুটপাথে বাসের অপেক্ষা- রাত বাড়তে থাকে মুঠোফোনে ।

"বরং জাগিয়ে রাখো
কোঁকে অন্ডে সবুট লাথাও
ফের ঘুম
বিষ ঘুম থেকে কাল সমস্ত রাত এক
ভৌতিক ডট- ম্যাট্রিক্স থেকে রোদ উথলে পড়ছে এই বীজঘ্ন ভোর"


(পাঠক্রম)

চির অন্নপূর্ণা মা মঞ্জুলা দত্ত চলে গেলেন । চিতার আগুনে কবি পুড়িয়ে দিল তার তাবৎ আস্তর কুয়াশা/ সিলিন্ডার এ ভরে রাখা ক্রোধ, রিরংসা । গড়গংগার রাহী পথে উড়ছে ধুলো গংগার জোয়ারে ভেসে গেল ছেঁড়া কবিতার পাতা । এ তোমার মানব জামিনের ফসল নষ্ট করে দিলে ।

মেঘ স্বীকার আমাকে ডাকে- মাতৃজঠরের কালো ঘুম আমাকে জড়ায় আকাশের বিদ্যুৎ কে আমি সরলরেখায় ফেটে যেতে দেখিনি । প্রেমহীনতায় ক্ষুৎ কাতরাই- করতলের ফাঁকে জল হয়ে যাচ্ছে দাহ

"মেরা ভেজা বাওলা না করে
জন্ম নাস্তিক কোনও ইষ্ট দ্যবতা নাই । 

তবু কোইথিকা জিবে রাদা মাদব রাদামাদব মহামায়া হাসে--"

তোমাকে বোঝা দায় । জন্ম বাউল বোহেমিয়ান- মঞ্চে কবিতা পড়তে ভাল লাগে না । হরিয়ালি garden of six sense ,এ ঠেকে- যাযাবরী বস্তির চাট্টানে আমার কবিতা পাঠ । কুড়ালে কুপিয়ে কবি পুঁতে রাখে তার শিকড় । ছাই রঙা কবি কে নিয়ে ফেরৎ আসে ঘূর্শাল ।  ঠান্ডা কাদার ভেতর শুয়ে থাকা ।




২০১২-১৬


পর্ব ক্যানাইন দহন এল্যাইনেশন/ শূন্যকাল
'আঙ্গুল গুলো খসে গ্যাছে
ফলে রীড লাফিয়ে উঠে এখন সুর বন্ধ

কিছুকাল (নিষাদ)

জামরুলের মতো ফাটা পোর্সেলিনের টেবিল চুঁইয়ে সভ্যতার ন্যাপকিন, সিরিঞ্জ, কনডোম ডিসপোসেবল কাৎরানি গাঠরির গিঁট খুলে রেড লাইট, গ্রীন লাইট এরিয়ায় ছত্রাকার ।শীত গ্রীষ্মের লেন/ বাইলেন শূড়িখানায় নিবিড় মেলামিলি অথচ সন্নাটার ফিসফিস ফিলিংস- --নিমগাছের পাতারা পাথরের টেবিল সাজায় বৃত্ত বড় হয়- -নতুন মুখ/ হ্যাঁচকা হ্যাঁচকা ডাইন ব্যালেরিনা কবিতা পোষ্টমডার্ন ব্রূহাহা- -হাবাকালা চাটুকার শূন্য থালি- --শূন্য পথ- -শূন্য প্রেম- --শূন্য কাল!!!!!কালের ধরতাই- -সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্পাদক ডিডির হ্যালোজেন সিগন্যাল ।উষ্ণতার আঙুল গুলি বন্ধু খোঁজে--জীবনানন্দের জন্মদিন হবে পীযূষ আয়োজন করবে জায়গা দেখুন--

এভাবেই নীডলের ঘুম আমায় ডাকে

আজ উনিশ এ মে--আপনার বাড়িতে দু’হাজার সালে শহীদ স্মরণ- -ছোট্ট কুঁড়ি মেয়েটির কন্ঠে ''মুক্তির মন্দির সোপান তলে- --

আজ সেই কুঁড়ির হাত ধরেই আপনি অ্যারিজোনার বিশ্ববিদ্য্যিলয়ে- -মরুভূমির ধুলো মাখছেন- --আমার এখানে সকাল আপনার সন্ধ্যা

কোন ফারাক নেই কবি আমার হাতে কফির পেয়ালা- তোমার হাতে চা
বাংলা ভাষা ই শেষ কথা
বাংলা ভাষা ই আগুন/ এবং কান্না


প্লেট না থাকায় ঝাড়খণ্ডের এক হাসপাতালে এক অসুস্থ মহিলার খাবার মেঝেতে সার্ভ করা হয়---আগামী ডিসেম্বর সংখ্যায় ব্যবহার করব ।

কবিতার আসরে আচমকাই ব্রেক কষে কবি দেবুদার কাঁচের ঘরে শুয়ে থাকা রজনীগন্ধার সাদা চাদর হাহাকার জল ডিডির চোখে

'রাত্রির ডিফথং
এই শেষ গ্রাহ
পায়ে পায়ে জাহাজ আমার জাহাজ
আমার জাহাজ এলোরে
হো হো জাহাজ আসছে
হুররা জাহাজ আসছে----


(পোতাশ্রয়)



২০১৭


রিকোয়েম
কোন কথা ছিল না
তবু এই শীতার্ত শরীর হিমঘরে চুপ চাপ
উষ্ণতার কাঙাল চোখের পাতায়
আজ আর আবাহন বিসর্জনের খেলা নেই ।
পায়ের নীচে রজনীগন্ধা
ঠোঁটে চুমু খায় প্রেয়সী আগুন---



No comments:

Post a Comment

Facebook Comments