অতনু বন্দ্যোপাধ্যায়

 

উলটে যাওয়া পথের হদিসে দরজা বলে কিছু থাকে না

অতনু বন্দ্যোপাধ্যায়



সেদিন সকাল। আমরা ফিরছি জয়ন্তীর থেকে। গাড়িতে সামনের সীটে বারীনদা। হঠাৎ পীযূষের ফোন।আর কবি দীপঙ্কর দত্ত’র মৃত্যু সংবাদ। দেখতে দেখতে আমরা জলদাপাড়া জঙ্গলের কাছাকাছি। এবার প্রাণজিদা,দীলিপদা,অগ্নি আরো আরো অনেকের সাথে কথা হতে থাকলো। আমরা সবাই কেমন যেন হয়ে গেলাম। সকাল গড়িয়ে দুপুর। দুপুর গড়িয়ে বিকেল আর সন্ধ্যা হয়ে এলে বাকি সব জানা গেল কিভাবে কখন আর কবে কবি আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। আমাদের ছেড়ে চলে যাবেন।

দীপঙ্করদাকে আমি চিনি প্রায় ১০ বছর হল ওর কাব্যগ্রন্থ ‘দীপঙ্কর দত্ত’র কবিতা’দিয়ে। তারপর দিল্লিতে দিল্লিহাটার্স এ দিল্লির আড্ডায় আর কোলকাতা বইমেলায়। বহু কথা হয়েছে কবিতা নিয়ে আবার হয়ওনি অনেক কিছু এমন বলার কারণ আমি আজ নিজেই খুঁজে পাইনা। এটাই বুঝেছি দীপঙ্করদা মনে আনমনে নিজের যাপনের সাথে কবিতাটাই ভালবাসতো ।


এই প্রসঙ্গে বহু অপ্রাসঙ্গিক এলোমেলো ঘটনার সাক্ষী থেকেও আজ নিজেকে কিছু কিছু কারণের জন্য আপরাধী মনে হয়। মনে হয় ওর সাথে আমার আরো সখ্যতা হবার কথা ছিল। কিন্তু কেন হল না এটা ভাবতে গিয়ে আবার ওর কবিতা নিয়ে বসে পড়াকেই সবচেয়ে আমার তাবৎ ক্ষুৎ-কাতরানি বলে মনে হয়ে ।  ওঠা ঠিক তখন জানতে পারছি ওর পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়া নশ্বর ইতিহাস নিয়ে কবিরা ফিরে যাচ্ছেন । আর আমি পড়ে রইলাম এমন এক হেরে যাওয়ার সন্ধিক্ষণে যেখান থেকে শুধু নিজের মাকে স্মরণ করা যায় আর আমাদের আগ্নেয় বসন্তের জাগলার জেগে ওঠেন ।

‘লোফালুফি খেলতে খেলতে একটা গোলক ছিটকে বরফের ওপর দিয়ে বরফ গিলতে গিলতে স্ফীতকায়......’

টোকা মেরে জ্বলন্ত দেশলাই ছুঁড়ে ফেলে ......নিজের লাশের ওপর দিতে হেঁটে যেতে যেতে একবার পিছন ফিরে তাকাতেই মন আলতো হয়ে এলো । স্মৃতির অজ্ঞাতে এক অলীক কথোপোকথনে আমরা আবার পাশাপাশি বসলাম গলির অন্ধকারে । ফিসফিস । চুপচাপ ।  কোথাও কিছু সিরাম, এক বস্তা পিঠ আর পাঁজর নিয়ে , চিড় খাওয়া জলের মুহুর্ত নিয়ে যে কথাগুলি হয়েছিল তাকে কোন বিশেষ কবিতার তকমা দিয়ে সাজানো যাবে না । যাবে না হঠাৎ উঠে এসে মুখের সামনে বিড়বিড় করে বলে ওঠা গ্রাফিক্স গুলির যেমন কোন আঁশ ছিল না তেমনি

‘তোমার হ্যাপ্লয়েড পৃথিবীর নিউক্লিয়াসে এখন অতীন্দ্রিয় আলো-
ক্রাচে,হুইল চেয়ারে, স্ট্রেচারে যে কোনও
করিডর পথে তুমি যাও,
এখানে বসন্ত আজ; দু’স্তনের ওপচানো দুধে
নার্সের অ্যাপ্রণ ভিজে গ্যাছে – ’

এভাবেই ভিজতে থাকা নখের সৌজন্যে কবি বারবার কুয়াশায় পোকাদের প্রেম আর কোটাল রাত্রি নিয়ে হেঁটে বেরিয়েছেন গাজিয়াবাদ থেকে দিল্লির অলিতে গলিতে। আমরা টের পাইনি। পেতে চাইনি কারণ ওকে গ্রহণ করার যোগ্যতা কোথাও না কোথাও গিয়ে আমাদের ছিল না। তাতে অবশ্য কবি দীপঙ্করের কিছু যায়ও নি আসেও নি। এসে গেছে আমাদের। কোথাও না কোথাও গিয়ে লজ্জা অভিমান আর একটু সরে থাকা যেন

‘ যে শাবক কামনায় শিশ্ন এই প্রবেশ করেছে তার তরে
আগুন আকাশ জল দক্ষিণে বামে বায়ু ও ফেরাম
শুধু গতিটুকু লোট লোট শ্লৈষ্মিক পৃথিবীর খেলা
দশ ক্ষিপ্র নখরে
জাগো
কনিক্যাল আগুন ওঠে এই ধুসর দর্পণে’



কখন প্রহরী বদল হয়ে কবি জ্যাভলিন ছুঁড়ে দিলেন আমাদের দিকে। আমি কাত হয়ে সরে যেতেই দীপঙ্করদা হো হো করে হেসে উঠলো দিল্লি হাটার্স কাঁপিয়ে। এরপর সকলে এক সাথে ধাতস্ত হয়ে মুখ টিপে হাসতে হাসতে কবিতার নিরাময় হল। ফুটে উঠলো পাথর আর শব্দের লুটমার। আমাদের দৌঁড় শেষ হতে না হতেই সামান্য ব্যবধান মেপে বেজে উঠলো ফোন। ওপার থেকে শোনা যাচ্ছে বর্শার গলা। সে সমানে বলেই চলেছে রাত্রির সশস্ত্র পাহারায় আজ পাঠক্রম নিলাম হবে। নিলাম হবে জিরো আওয়ারের সেই সন্ধিক্ষণে যখন ‘ চোষা চাবানো হাড় হাড্ডির বিষণ্ণ স্তুপটুকু মুঠো করে’ কিছু মানুষ বলে উঠবে উল্লাস। এখান থেকেই আবার পাঠ নেওয়া হোক। শুরু হোক অঘ্রাণের ফসল।

চলো যাই এবার রাস্তায় নামি। এই রাজপথ আজ দোমড়ানো চীজের টুকরো জানালা হয়ে উঠুক। মেমারী থেকে বেরিয়ে আসুক রোদ ।কাফন ছিঁড়ে আরেকটা আকাশ যদি নাই দিতে পারি তোমাকে তাহলে আমি কারসর ব্ল্যাক-হাউন্ড আর জোনাকির দেবশিশু খেলা হয়ে উঠবো কিভাবে। কিভাবে

‘ যা সুরার পরিবর্তে ঢালি গেলাসে গেলাসে
দ্য লাস্ট সাপার এসো
ঘনিয়ে উঠছে বালুকার ক্ষণ বন্দরগাহ্‌ -’

কবিতার কাউন্টার কিভাবে হয়। কিভাবে মুঠো মুঠো জ্যোৎস্না তুমি অবলিলায় একহাতে ধরে ফেলতে দীপঙ্করদা? আমি নেশার ঘোরে এই প্রশ্ন করতেই কবি আবার আরো বেসামাল।আমার কাঁধে হাত রেখে অনর্গল বলেই চললো

‘ এরা ফ্রিজ কি বীয়ারও রাখে না
ফাক্‌ শুঠো বার্গারে বোবায় ধরেছে
মলমূত হাড্ডির ঘিলানো স্যাঁতস্যাঁতে মেঝে
তন্দুর হলকার দিকে প্যাসেজ যত বেঁকে যায়
আমার বুট আহটে তত জন
সাকরেদ এ ট্রেঞ্চ নয়’

আমি বুঝে ওঠার আগেই কোব্রা শীৎকারের দিন শেষ করে কবি স্রেফ চিৎকার করে লাফিয়ে উঠলেন আর শুরু হল হারেমের স্পিকারে স্পিকারে সেই নির্ভয়ের থাপ্পরটাও।

যে যেখানে আছো জিপার খুলে যে যার মত দাঁড়িয়ে যাও । কবিতা আসছে। পেট খালি করতে হবে। সুতরাং অনিবার্য হিসি এখন আমাদের শেষ আশ্রয়। আমি আর মাথা তুলে দাঁড়াতে পারছি না। বসেই পড়লাম। হয়তো শুয়েই পড়েছিলাম। মনে নেই। যখন ঘুম ভাঙলো দেখি দীপঙ্করদা আমার দিকেই তাকিয়ে আছে।  প্রশ্ন করলো......কিরে শালা আর খেলবি কবিতা নিয়ে? নাকি আবার নিজেকে মার্ডার করতে যাবি আমার সঙ্গে?

আমি সেদিন আর কোন উত্তর না দিয়ে উঠে বসে বলেছিলাম......দাঁড়াও একটু হিসিয়ে আসি। তারপর তোমাকে কিছু লেখা শোনাবো যা এখনো আমার কাছে নাইটমেয়ার হয়ে আছে ।

ব্রেক টু গেন অ্যাকসেস । 

 

রিসিভার পোঁতা আছে অ্যালার্মের জন্য। আমাকে চুপ করিয়ে দিয়ে এই কবরখানায় এখন কবি দীপঙ্কর ছাড়া আর কেউ যে কোথাও নেই সেটা টের পাচ্ছি। পাচ্ছি একটা শাবল দিয়ে মাটি খুঁড়ে ফেলার শব্দও। এমন শব্দ যেন

‘কাঁচ বাক্সের ভেতরে যেই কে সেই শীতঘুম
বাষ্পের মতো চুঁইয়ে চুঁইয়ে বাইরে চোখগুলি বুঁদ হয়ে আসে’

আসে লাফিয়ে ওঠা রীডের ওপর কিভাবে কবি দীপঙ্কর যখন অবলিলায় ওর আঙুল চালাচ্ছেন তখন দুপুর ঘুড়ির পাঁজর আর কাঁচ মাঞ্জার শিরণিই আমার লৌকিক কবিতার অশেষ ব্যাখ্যা হয়ে জ্বলে জ্বলে উঠছে আর আপসোষ করছি এই ভেবে ভেবে তুমি ছিলে। আমার কাছেই ছিলে। কিন্তু কিছুতেই স্পর্শ করা গেল না। গেল না শ্রাব্য হয়ে ওঠা এক পোতাশ্রয়ে নিজেদের মত আরো কিছু সময় কাটাবো বলে যে কেবিনটা আমি আজো দেখতে পাই তাতে

‘ জলে আগুন লেগে আগ্নেয় ঢেউয়ের নক্সার কাঁথা মুড়েনি শিশুকে’

‘পায়ে পায়ে জাহাজ আমার জাহাজ
আমার জাহাজ এলো রে
হো হো জাহাজ আসছে
আমার জাহাজ আসছে......’

সত্যিই একদিন স্ট্রিং থেকে খসে পড়লো সেই জাহাজ। কবিতার মাটিতে এলো ক্ষুরের দাগ। গানের একটা ঘুর্ণি আর আমরা আবার পাশাপাশি বোবা হয়ে রাতের পর রাত বসে আছি কার্ফিউ উড়িয়ে দেবার জন্য।

‘ শস্য আমাদের প্রতিটা মায়াবী গোলাঘরে
ফিরে আসে মারী
আঙুলহীন হাত কখনো ছিকলি বাঁধে না
আগুন আনফেজে ছিটকে যাচ্ছি......

কোথায় দীপঙ্করদা? কোথায় তুমি রেখে এসেছো আইভি গুল্ম? মেশিনের গর্জন কি ক্রমে থিতিয়ে আসছে? কবিতার মাঠে কি আবার ঘাস গজিয়ে উঠলো? তুমি কি দেখতে পাচ্ছো ফিরতি ডানায় পাখিরা সেইসব মাথায় করে ফিরে আসছে শুধু তোমার কাছে। আরেকটু তোমার হবে বলে।

এভাবে বলিস না অতনু। আমার তো যাহাই সকাল তাহাই দুপুর তাহাই বিকেল আর সবটা মিলিয়ে যখন আরেকটা রাত্তির আসে তখন তোরা জানিস না কি অসম্ভব কাঠামোর চাপে আমার শরীর থেকে শুধু দাহ্য গরিয়ে যায়। খুলে আসে শাড়ি আর আমি কিভাবে আগলে রাখি এই কেয়স

‘ আর জাইগোট ফর্ম নিচ্ছে এক কাউন্টার কর্ড
যা আষ্টেপিষ্টে পাক খেয়ে বিপরীত ক্রমে
ঘুরিয়ে ছাড়ছে এইাবিকট তীব্র লাটিম
কুয়াশা থিতিয়ে গেলে সুৎরা নিকোনো পথ ফের
রৌদ্রের চাদর আর ভল্লের জানলেবা খেল চালি, সমারসল্ট
চতুর ম্যাটাডর – ’

চলো আজ আর না। এবার ঘুমোতে যাই। কাল আবার কোথাও একটা যাব এই শববাহকদের সাথে। আমাদের ট্রমা চাই। আরো আরো অনেক অনেক ট্রমা ।

নেক্সট ডে। আদরের কফি আর বিছানারা ঝাড়ানা দিতে দিতে আমাদের আবার মুখোমুখি দেখা হল। আমি ওমলেটের তা ভাঙতে ভাঙতে ওকে জিজ্ঞেস করলাম আচ্ছা এই যে তোমার এতো উন্মত্ততা আর অবসেশন এটা কি সত্যি তোমার মধ্যে আছে না তুমি এটা আরোপ করো যাপনের জন্য বা কোথাও না কোথাও গিয়ে নিজেকে লুকোবার একটা অলিখিত চেষ্টা? উওরটা কি হতে পারে অতনু......ওই আমাকে পালটা প্রশ্ন করলো। আমি একটু অপ্রস্তুত হয়েই বলে ফেললাম না এর কোনোটাই না। আসলে তুমি সারাক্ষণ ভালবাসার মধ্যে থাকতে চাও। চাও কবিতার মধ্যে নিজেকে নিমজ্জিত রাখতে। হয়তো অনেক কিছুই তোমার পছন্দ হয় না। অনেক কিছু তুমি সহ্য করতে পারো না বলে এইভাবে রিঅ্যাক্ট করো, তুমি রোগোগ্রস্থ হয়ে ওঠো আর সেখান থেকেই

‘বিপরীত জানালা খুললে ধোঁয়া বেরিয়ে যায় কিন্তু সেই
আরপার হাওয়াটা নেই
চাকুর ব্লেড বেলোজ ঢেউয়াচ্ছে ঢেউয়ে যাচ্ছে
দশরীড চাপের গোঙানি’

দীপঙ্করদা হাসে। ভীষণ হাসতে থাকে। আমি আবার একটা জানালা খুলে দিই। আর বাকি জানালা গুলো খুলতে খুলতে ‘মেখলার র‍্যাপারে ওকে মুড়ে নিই ফিলহাল’। আমাদের দোমড়ানো বুলেটিন গুলো ঝুঁকে পড়তে থাকে কার্ণিশে। রাস্তা দিতে একজন চেনা মানুষ তখন কোথাও যাচ্ছেন আর কবি তাকে শুনিয়ে দিলেন ‘ আশাকরি আপনার সাইকেল এখন কিছুটা সুস্থ!’ সেই মানুষটাও কি বুঝলেন জানি না। আমার দিকে তাকিয়ে ঠিক বলে উঠলেন......আজ কবিতা কোথায় হবে দীপঙ্কর। ওকে নিয়ে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে এসো কিন্তু

স্টেপনির টিউবের সুরুয়া ফুটছে কেটলিতে

 

আমাদের বাষট্টি পাতা পড়ে ফেলা হয়ে গেল। ওপারের রিসিভার থেকে ভেসে আসছে বেডরুমের মিরর। কেউ যেন বলে উঠছেন বারবার ‘ তোফা থাকতে যান এই আলোর জিম্মায়’। ঠিকইতো আলোর জিম্মা তো বটেই। এত আলো যে এত এত শুশ্রূষায় আর ঘরমুখো হতে চাইছে না পাইন ফার শালের আনাচকানাচ। টিলার ওপর থেকে নেকড়ের ঢল নেমে আসছে। আর দীপঙ্করের সমতলে ঝড়ের আবহে কথোপকথনে ফের শুরু হচ্ছে পায়ে পায়ে জল কিম্বা কবিতার গ্রীনরুম যখন

‘ফেরার কার্তুজগুলি
রিভলভারের খোঁজে এসে দু’হাত হল্ট করে গ্যাছে’

কবি স্যালাইন খুলে আমাকে হিন্দি বলছেন...অব উঠিয়ে ভি
আটার রুটি কিনতে যেতে হবে এবার আমাদের। যেখানে বাদবাকী অগ্নি নৈঋতে আজ কোটাল এসেছিল। এসেছিল স্যালাড থেকে রাতভর টানা ঝড় যখন

‘ভাঙছে না ডাইনির স্বপ্নরাজ্য
                 আগুনে ফাঁস আর ডুগডুগি
                                             ধোঁয়ার চাতুরি’

সেখান থেকেই আবার আমাদের দানোয় পেলো। আমরা পালাতে শুরু করলাম। আর কবি দীপঙ্কর লিখতে শুরু করলো আরেক নতুন অধ্যায়। স্পিকিং দ্যা ম্যানিয়ার কবিতা। যেখানে কোনো হলফনামাই আর রাখার প্রয়োজন হল না।পড়তে পড়তে আমি হারাম হয়ে উঠলাম। সেই কোর্টের পাম আর পাইনের স্মৃতিগুলো কুপি জ্বালিয়ে বসে পড়েছে রুটির চারপাশে। ‘ছড়ের চালিকা ঢল –ছেঁড়া চেন হুইলের কাঁটায়’ –আবার সূর্য ওঠার পালা। আবার কবিতার একটা লাশ বয়ে নিয়ে এলাম

একটু যদি দেখেন!


এভাবেই ক্রমাগত নিজের সাথে নিজের লড়াই এ তুমি কোথায় যে গিয়ে দাঁড়ালে ? কমসে কম একবার যদি নিজের শীতঘুম আর সেই বিষণ্ণ সাইকেলটার দিকে যদি একবার তাকাতে তাহলে হয়তো অনেক কবিতা না হলেও এরকম হতো না। আমি এতক্ষণ নিজেকে প্রচুর ডাইনলোড করলাম দীপঙ্করদা। তবুও তোমাকে একটা সিঁড়ি আর একটু মদ দিতে পারলাম না। পারলাম না কত কত কথা পাইনপাতার ফাঁক থেকে খিলাফৎ বয়ান দিতে। আমার এখন ভ্যালি ফীভার। তোমার বাকি কবিতা গুলো পড়তে পড়তে একটা চূড়ান্ত বৃষ্টির দিন চাই। চাই সেই উড়ন্ত কপ্টারকে আমার সাইক্লোনের কাছে নামিয়ে আনতে।

যেখানে তুমি দরজা খুলে বেরিয়ে এসে শুধু একবার বলে উঠবে

অবিদ্যা


‘ হ্যালো জেন
সিনে সাফিক্স শান ধরেছে হ্যালুর ট্যারেন্টুলা
কালিকাজী রোদ ওঠে না
ধুতরা বীজ থ্যাঁতার খল ও বিষবাড়ির টিন লুকায়
#
আঃ দুধ অ্যান্টিটক্সিক    ওঃ দুধ অ্যান্টিটক্সিক
উঃ দুদা সিকাট্রিসান্ট     হোঃ দুদি ডিউবেটিক
আহো দুদে স্টিমিউলেন্ট   হোয় দুদো ডিওডোর‍্যান্ট
আহা দুদং ভার্মিফিউজ     ওহো দুদৌ কর্ডিয়াল

ফাক্‌ দুদঃ হিপনোটিক

এখানেই আমাদের যাত্রা শুরু হয়েছিল
আর এখানে এসেই আমি আবার বলতে পারি
চির অন্নপূর্ণা মা মঞ্জুলা দত্তর উদ্দেশ্যে এই ক্ষুৎ-কাতরানি আমাদের হয়ে থাকলো। একলা কবি দীপঙ্কর দত্ত হয়ে থাকলো




3 comments:

  1. worthy write !! ভাল লাগলো পড়ে । এখন শুধু স্মৃতি চারন ...

    ReplyDelete

Facebook Comments