মুক্তি মণ্ডল

 

 দণ্ড

মুক্তি মণ্ডল



ছায়ালেনে ভবঘুরে
বসে আছে
সূর্যাস্তের পৃষ্ঠা ওড়ে হাওয়ায়

পরিত্যক্ত লৌহদণ্ডে
নিজেকে দেখার আর কিছু নেই
দর্পচূর্ণ

ভেজা নগ্নতার পাশে
চুপচাপ
অপেক্ষা করতে শিখে গেছি আমি

বুঝি মরা কাঠের অন্তর জুড়ে
শুয়ে আছে হাহাকার
বনসখি

মানুষ দেখি না 
সুরের ভেতর ডুবে যেতে দেখি
পেরেকের ঘুমের ভঙিমা

ছুঁয়ে দেখা
আলোর শরীর ডালিমাভায়
এঁকে রাখে
পাশফেরা মুখের ছবি

নিশ্চুপ কাটার গভীরে
লুফে নেওয়া রোদের মতই
এখন বন্ধন ছিন্ন হাওয়ায়
জানালায় ভিড় করা মুখোশে তাকাই

কফিনে, সজীব দাবনার মাংসে
লেগে থাকা চুলের ঘ্রাণ
পরখ করি

কেঁপে ওঠে ভাবনা
বিকৃত মুখগুলো করুণ পাতার স্বরে
নিঃশব্দে
অসংখ্য মুখের সেলাইয়ে
মিশে যায়

সৃজিত মেঘে দুলে ওঠে চিন্তার সিঁড়িঘর
নিস্তব্ধ দেহ সরিয়ে
পরমা ফসিলে টলে মলিন ঘড়ির কাঁটা
অব্যক্ত দ্বিধার দণ্ড

No comments:

Post a Comment

Facebook Comments