সুকুমার চৌধুরী

শক থেরাপি আপডেটেড

সুকুমার চৌধুরী



বছর দশেক আগের সেই গলা জড়াজড়ি ছবিটা দেখছিলাম দীপঙ্করের সাথে , যেটা তোলা হইয়েছিলো চিত্তরঞ্জন পার্কের বিখ্যাত কালীবাড়িতে, যেখান থেকে দীপঙ্করকে তার বন্ধুবান্ধব সমেত বের করে দিয়েছিলেন ডায়াসপোরার সো কলড অধিনায়ক, সেই যেবার 'ফেষ্টিভাল অব ডায়াসপোরা' আমরা সবাই দিল্লীতে । সে যাত্রায় দীপঙ্করের সাথে । সেই শুরু আর সেই শেষ । তারপর কতবার দিল্লী গেছি, কক্ষনো দেখা হয়নি । দেখাই করেনি সে । আর সে সব সভায়, উৎসবে, সেমিনারে বইমেলায় ইনভাইটেড আমি, অথচ কি আশ্চার্য স্থানীয় কবি দীপঙ্করকে অর্গানাইজারেরা কেউ ডাকেনি । অভিমান বশতঃই সে হয়তো আসতো না বারবার । বলতো , চল দেখা হবে লিটল ম্যাগাজিন মেলায়, নয়তো বই মেলায়, নয়তো অই-খানে অথবা অন্যকোথাও । ততদিনে আর প্রিন্টেড বা জেরক্সড নয়, ও একটা ওয়েবজিনের শুরু করেছে ।  বাংলা নাম শূন্যকাল । রবিদা , অরূপ একে একে সব কেটে পড়ায় দিল্লি হাটার্সের সেই আড্ডাটাও বন্ধ হতে চলেছে । আমি বুঝতাম ওর জ্বালাটা, ওর ঐ একটেরে অস্থিরতার অনেকটাই আমার জানা হয়ে গিয়েছিলো । আমার দশকের কবি হলেও প্রথমাবধিই ও ছিলো সম্পূর্ণ অন্যধারার । ও কে অনেকে নিহিলিস্ট ভাবতো । সে শুধু জিরো আওয়ারের এডিটর বলে নয় তার অদ্ভুতুড়ে পাওয়ার পোইয়েট্রির জন্যেও হবে বা ।  কবিতা বিষয়ে তার ভাবনা চিন্তাও ছিলো সম্পূর্ন আলাদা মাত্রার । ভয়ংকর মর্বিড ছিলো শূন্যকাল , কখনো লিখতে পারিনি । একটা শিউরে ওঠা, কারেন্ট খাওয়ার মতো অনুভুতি হতো ওর ওয়েবজিন খুললেই । লেখালেখি কি সব সময় হন্টিং হতেই হবে , ইলেক্ট্রিফাইং , হরর মুভির মতো ধামগুজারি , ছাপতেই হবে আই ক্যাচিং না চিত্রকল্প, লেখা না দেওয়ার অজুহাতে কখনো সখনো সাফাই গাইলেই ও কিন্তু বলতো "বসতে হবে সুকু এমনি এমনি হবে না বুঝলি" ।  অথচ কখনো বসলেই ও শুধু পুরানো দিনের রোমান্টিক গান শোনাতো । মনে পড়ে রুবি রায় টাইপের । তখন কেমন যেন অন্য রকম লাগতো ওকে , মনে হতো এ যেন অন্য এক দীপঙ্কর । তার অসহ্য লেখালেখির নামমাত্র শক থেরাপি তখন কিন্তু টোটালি ভ্যানিশড ।

যত্ন করে কাগজটা করতো । ভুতুড়ে সব ছবিটবি আর লেখাজোকা নেট হাঁকড়ে খুঁজে খুঁজে, একটু একটু করে সাজাতো । পাগলা কবিদের একজোট করেও ফেলেছিল প্রায় । এত সব জটিল ব্যাপার সামলানোর জন্য সে ঠান্ডা হেডঅফিসটি দরকার সেটি ষোলআনা ছিলো ওর । গেল বার বইমেলায় ওর সাথে দেখা হয়নি । তিতিবিরক্ত হয়ে কেটে পড়েছিলো আগেভাগেই । বলেছিলো পরের বার বই মেলা নয় নিটল ম্যাগাজিন মেলায় যাবো , পাক্কা । বললাম এত আগের প্লান মেটেরিয়ালাইজড হলে হয় শেষমেষ । ও বলল হ্যাঁ ।  হ্যা, টিকিট বানিয়ে রেখে দে । যা হয় ।  সেই ক্যানসেল করে দিলো । শরীরটা ভালো না রে । বইমেলায় যাবো । ইতিমধ্যে বেশ বুড়ো হয়েছে ব্যাটা, মাথা প্রায় খালি । প্রেশার , সুগার আরো কি সব বাঁধিয়েছে । শরীরের আর দোষ কি ! এতো শক থেরাপির ধকল সামলানো কি এতোই সোজা । অজিতের ফোন এসেছিলো, কি হলো মেলায় এলি না যে ? কি করে আসি ?  ও ব্যাটাই কেটে পড়লো যে ।

খনন ৩৬-এ ওর একগুচ্ছ কবিতা ছেপেছিলাম । কবিতাগুলো পড়তে পড়তেই মনে হলো এই তো সেই মারকাটারি আওয়াজ, মাখন কিরিচঃ



দীপঙ্কর দত্ত-র কবিতা 



হ্রেসা


ব্লু অ্যাগেভ আর হর্স সিমেনের টেকিলা গ্লাসগুলি সশব্দে টেবিলে নেমে আসার পর
অনছুয়া একেকটি ভার্জিন গ্ল্যাসচাইম উঠে যাবে সরাই সিলিংয়ে
আঠেরোটা জানালা
একটা একটা করে এভাবে খুলবি হাওয়াদের যেন দানোয় পায়, আরপার লোটপোট
ইন্সটিংক্ট ফাকিং বাজিয়ে যায় থরো জিংগলিং থরোথরো চাইমস শিঞ্জিনী
ব্যাস তুই এটুকু ইভেন্ট ম্যানেজ কর
পেটে বুকে জিগর থলিতে ক্যাঙারু বাচ্চার মতো থবু প্রেমেরা জরদগব
মেঝেয় আলতো ছেড়ে দিয়ে তুলোট পিংপং পা-পা হাঁটাই
কালোরা দ্যাখে না, বেতো  শাদারা দ্যাখেই না
খয়েরিরা দেখেও দ্যাখে না
ছাই ছাই রঙা টাট্টু ঠ্যাঁটা জিদ্দি হেঁটমুণ্ড বালুরঘাট --
#
সরো দেহি
সারাদিন পক্ষীরাজ মাঞ্জা মাইরা বাজারে চরবা আর হাগবা আইসা ঘরে এই আথালে !
পা সরাও চিঁহি, এট্টু ঝ্যাঁটাই নিকাই তোমাগো নীলরতন সরকার
সওয়ারী নাই চাবুক নাই রাতভর কান পাইত্যা শোনো
ক্ষুধা এই প্যাটের শত্তুরের চিকনি চুপড়ি
আর মালসায় ভাত পিণ্ডির টগবগ
একটা ঘোড়ার জন্ম হইলে দ্যাহন লাগে এক্কাকাগবগ্গাগো সাজো সাজো
চাইম শিউরণ আল্হাদি আটখানা ট্র্যাকে ও টার্ফে
বরং হোগলাগুলি ফাইড়া লামাও, জাবনা খাও শোও বিছায়া বিছায়া
কিন্তু আলো আসুক, চান্দের ছোবনাহান দেহি ফাটা চালে
হাওয়ারাও বেবল্গা ওফোঁড় ওস্পার দেখুক মহীনের শপাং ল্যাশিংয়ে –
#
ফ্লোরিডা, হ্যালান্ডেল বীচ
সময়টা ঊনিশশো তিরাশি
স্যার ভিভ তখন যেখানে সেখানে স্ট্রোক খেলছেন
নীনার বেবী বাম্প দৃশ্যমান
চার্চিল ডাউন্স ব্রীডার্স কাপ জুভেনাইল জিতে
টাটকা টকটকে একটা সূর্য উঠে আসছে
আর সেই আলোয় অহল্যাকে মেটিং করাচ্ছে ট্রেনার রুস্তম
ফাক্ বাডি গ্যালান্ট ফক্স
আর আজ যখন তাদের অষ্টম প্রজন্ম ট্যারেন্টুলা
হোক্কাইডোর ক্রোশ কে ক্রোশ আভাতি বালুকাবেলা গ্যালপ গ্যালপ
ঝড়েরা কেতাবী স্রেফ ওঠে, কিন্তু পাতাটি নড়ে না
জলথলের ফাটল গলে করাল জলেরা জল ছেড়ে দেবী সিক্তা বিকটনয়না
ঘোড়া যেখানে থামে সেটাই মিয়াগী, এপিসেন্টার
ট্র্যাক, গ্র্যান্ডস্ট্যান্ড প্লাবনে জ্যাকপট ভাসিয়ে নিয়ে যাও
আঁতুরেদের বিচালির কানপট্টি থলিতে মেশাবো হাক্কা য়ুরেনিয়াম রডস্ নুডলস্ –

 

ইছামতী


যথেষ্ট বর্গী বাত্সন্যায়ের পরও যূথিকার ঠিক মোচন হয়না ফলে এমন চেঁচায়      
যে স্টীমার এর যে কেবিনেই ছালায় শুয়ে পরছি আইদার দরজায় নক পরে
নয় জানলার নিচ দিয়ে খেউড় পাড়তে পাড়তে একটা বোঝাই বজরা যায়
কত্তা ইট্টু আইস্তে গো কুমীরগুলান ঘুমাইছে !
#
ঢেউয়েরা কাজলা সোফোক্লিশে
আন্তি গোনে চিলানীর ছোঁ ছায়ার বিয়োগান্ত  ডবল ডিপ দফনানা 
গুঁড়ো ইলশে বৃষ্টির পর রোদ চকমকি ঝিকিয়ে উঠছে নুড়ির সোঁদাল নুর-এ-দোজখ
আর দূরে দূরে মানুষের জিরজিরে বোর্ন ভিটামাটি
লাউডগার হিসিং সারাউন্ড সাউন্ড রুটির কুটির শিল্প আর
গাছে গাছে আমের হাইনরিশ বোল হরি   হামিং হোমিং মলিকা-এ-তরন্নুম পাখি –
#
খাতুনের লাশটা আট ইঞ্চি ব্যাসের পোর্টহোল গলিয়ে জলে ফেলে দেওয়ার
চেষ্টা করে দেখলাম সব বৃথা
কুপিয়ে কাটার কুড়োল জাতীয় কোনো অওজারও নেই
গলায় নাইলন ফাঁসের লিনিয়ার একচাইমোসিস
ল্যারিনজিয়াল রাপ্চারের পর দড়ি দড়ি গ্যাঁজলা আলকাতরা        আমি ডেক স্টেওয়ার্ডদের
বোঝাতে পারবোনা এটা ওরকমই আকছার একটা ইসাডোরা ডানকান সিন্ড্রম-
#
উজান এলো উতল কবোত্তল এনেথ হুলু হুলু অনর্গল স্বন ইছামতী
মোচাখোলাদের লায়লা টিমটিম করছে
হাট্টিমার ফোঁপরা ইষল্লাল লেবিয়ার চেরি কুঁড়ির গার্নিশে
আমি কি ঝাঁপ দেবো, সাঁতরে উঠবো যোগিনীঘাট ?
প্রবল হাওয়ায় বিষের মতো টলটল করছে ছাঁদনাতলা
মৃন্ময়ী  কি পিঁড়েয় ঘুমিয়ে পড়েছে ?
মুন্সিগঞ্জ পুলিস শুঁকতে শুঁকতে ঘিরে ফেলছে গোটা তল্লাট --

ফেরা


সাপেরা নিয়ন্তা
আলো করে অস্ত যাচ্ছে নয়নতারার এক-বিহান ছয়লাপ রাস্কেল রেড
হানা বাড়ির হাস্নু হাস তু হরদম
কুবেরের জেবারাত  আগলে দহলীজের ফাটলে ফাটলে যক্ষী চন্দ্রবোরার পুশ্তায়নি মুথুট ফিনান্স
গার্জিয়ান কল এ উছন্নের মেঘ শিশুরা থম অধোমুখ
পশলা পশলা ড্রপ আউট হচ্ছে ভূলোক দুলোক ডুয়াল সিটিজেনশিপ আইপড অব্লিভীয়নে
প্র্যাকটিস ম্যাচ এ হ্যামস্ট্রিং ছেঁড়ার পর বৃষ্টি বিন্দুদের লোনাভলা পপিং ক্রীজে
অট্টম হাসছে মোহিনী কলমুহির মাড আইল্যান্ড ঝরোকার হাজারদুয়ার
বিচ ভলিবল প্লেয়ারের ডগি স্টাইল ঝিমুচ্ছে আলবোলায় 
টিমে ফিরছে নয়নতারা, দরকচা ল্যাশ গ্রীন চুনরির শরমো-হায়া -



নয়নতারা রিটার্নস


একটা বুলেট গুরুম হলো
আমরা যারা  ভাবছিলাম জিঞ্জার-গার্লিক-ভার্জিন অলিভ  কুয়াশার থোলো ম্যারিনেড ব্রেস্ট
আভেনে পোড়াবো, ছিঁড়ে ছিঁড়ে খাবো
কার্তুজটা তোলার সময় ফর্সেপে ডক্তর আর্থার দ্যাখালেন ইম্প্লান্টস ডৌল সিলিকন
জোড়া পান পাতায় আইভি-বিষাক্ত দেবী মুখের ব্লুইশ সিসিটিভি ফুটেজ
আমি চাইছিলাম ব্যালিস্টিক রিপোর্টের আগে সিগার কেসের ফিঙ্গারপ্রিন্টটা হাতে আসুক
প্যাগোডায় এক প্রহর চন্দ্রিমা যাপিয়ে উঠে দেওদারের স্ট্যান্ডিং ওভেশানে ক্ষার-খইল 
যখন নাইতে নাবছে নয়নতারা, বারথোলিন ছুঁই ছুঁই ফল্গুর আলঝাইমার্স
কখনো  কাপ্তান ও ধর্ষক ক্রু সদস্যদের নাম ভুলে যায়, কখনো জাহাজ ঘাটার সময়-সূচী--
ছাই-ছোবড়ায় ঘাটলায় পাঁজা হিন্দোলিয়াম মাজে একশো-এক জ্বর আর জল সালংকারা,
তলবেলির ঢেউয়ানি ডান্সএ চাঁদা মাছের ফ্যান ফলোয়িং বরশি চেবায় আর ব্লাড পিক ফ্যালে
কিন্তু ফাৎনা নড়েনা
হাল্ক হোগান ঘোড়-জুতুয়া চিকনী য়ুটার্ন  নেয় নদী অকুস্থলে
যখন সমস্ত এভিডেন্স সাঁজোয়া দাড়িয়াবান্দা ল্যাবটেবল প্যাকেটে প্যাকেটে
মেঘেরা টহল দেয়, একবগ্গা পিট্টু কিতকিতিয়ে যায়
মর্গের এ খিড়কি ও জানলা টু গবাক্ষ টু উইন্ডো টু ডুরে বাতায়নে --

সুবর্ণরেখা


লুকিয়ে পরে  চাঙর বাস্পের ওপার থেকে মওতাজ চিক্ষুর কু দিচ্ছে ঝিকঝিকেরা
কন্টেমপোরারি বাজানোর সময়
ছড় এ ফালা খেয়ে ফিনকি মারে বালুতলের কুইন্টএসেনশিয়াল সুবর্ণরেখা
অ্যাঞি অ্যাঞি লোটপোট মাফ হো গুস্তাখিঞা লুটের বাতাস হরিহে
ইউক্যালিপের ঘায়েল বাঘবন্দী অমানিশা অতঃপর নামে
প্রেতযোনির কাৎরা কাৎরা আবলুশ হেলহোল অরফ্যানেজ --
#
টফি দিতে চাইলাম জোড়াবেনী পাঁচমুড়ির মন্থন বললো উঁহু
আগে ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফারগুলোকে তাড়ান !
আলু-জিরে-রুটি ফয়েল প্যাক হোলো,বিসলেরী,ফ্লাস্কে চা এবার বিদেয় হোক ক্যারাভান
হায়েনাদের লওনড্রী-কুর্তি চির-ফাড়ের স্টিমি পিক্সেলের এক-আকাশ টুইঙ্কল শুট করবে
চোখগ্যালোদের  ডানার  কখনো জাজ্বল্য কভূবা দেদীপ্য ফ্ল্যাশ
রাত্রে দুধের গরম একটা গ্লাস আসে, মাদার পেরীরার রোহিপনল রূপকথা শুনতে শুনতে
নিশিরা হাঁটে আর পোহায় ওয়ার্ডেনের বিছানা বাথটাব গুলাবারি
ভোরে এক ব্লাডার বসে পরি পেচ্ছাবে আগুন কুন্থন
টয় ট্রেনের মতো নদী ঠুমক চলত সুবর্ণ রেত আর হাড় ঢুকে পরে ঘরে--
#
বাতিঘরের কোল্হু ঘূর্ণায় জলের কাকচক্ষু হ্যাজাক
বিনোদবেনীর সর্পভ্রমে গর্জে অথচ বর্ষেনা ঢিট মেঘেদের শিওরোন
কাঁকই ফিরছে শাটল বেপনাঃ আঁশ আঁশ চিউইং আঠার বয়নে রেড রিবন নাটাই উড়ণমঙ্গলচন্ডী --
বে দিয়ে দাওয়ার পর টেডিরা এখন কিউট পোয়াতি
বার্বির রাবার চিবোতে চিবোতে হাই তোলে কুকুর
আর ছাতে ছাতে টাওয়ার, সালাম-এ-ইশ্ক, সার্ভিস রিভলবারের ঘোড়ার মারিহুয়ানা চিঁহি ও ঢিচকাঁও,
গ্রীল্ড উলট মাশরুম আর চড়ুয়ের লাবসীর খুদ ঠোকরানোর চক্রবাত ধুলোট  হুল্লোড় --
দোলন সুস্তনী সোশ্যাল স্টাডিজ  তথৈব কুসুমও ভোগ্যা
কুসুম এখন শ্রম দেয়, ব্লোজব পাঁচড়া প্রমেহ আর মাসকাবারি এক ব্যাঙ্গম ব্যাঙ্গম ডাক পরে
সিটু ফেরতা খদ্দর ছোঁ চঞ্চু এসে নিয়ে যায় ব্যাঙের আধুলি
কিসি কিসি ক্রীমি ক্যাডবেরী স্মুচআথন উল্ফ হুইসলিং
সুপারী দেই, গাদা বন্দুকের চোলাই ঘুম ঘুম ধাতুতে লাথ পরে
ওঠ শ্লা শুট>>>>শুট>>>> মামু তোর হিস্ট্রি শীটার –

পলটবার


তখতাপলটের টানা দু রাত্রি পর ফুটফুটে পসার বসেছে
নিযুত সূর্যশলাকার ট্র্যাভেলগ ভোঁপ বন্দরগাহ্ 
হাফ ভলিতে নিয়ে কিক করার পর রাজার কাটা মুন্ডের আউটসুইংগার
জানলা ফাটিয়ে ঢুকে পড়ছে কিন্ডারগার্টেন ক্লাসরুমে
আর তখনি ঠিনঠিনঠিনঠিন ছুটির পাগলা ঘন্টি
গুলতির ঢিলানি দৌরাত্ম্যে চাক ও চিক্য ভেঙ্গে পড়ে অনর্গল ভূতিয়া বিদ্যায়তন
মাই-বাপ, হুকুম কা ইক্কা, বার বার নজরআন্দাজ করেছেন তবু
বার বার বলেছি আস্তিন থেকে লাফিয়ে টেবিলে বিছিয়ে পড়ে দেখুন
খোঁয়াড়ে ফি রাতে যে শেয়ালের হামলা হয়
পাঞ্জার বোঁটকা দরিন্দগী ট্রেইল, টুঁটি-রক্তের ঘসিটা বেগম কীভাবে শেষ হয়
হাভেলির খিড়কি দালানে !
স্যালাইন ও বিটাডিন সলিউশনে নানকৌড়ির ধৌত অন্ত্র এখন শুকায়
সমুদ্র-রোদ্দুরের ব্রড স্পেকট্রাম হাওয়া হাওয়াই স্যায়লাবে
গঞ্জে সুপারীর দর পড়ে যাচ্ছে হুকুম,দিশি কাট্টা পাচ্ছি স্রেফ আড়াই হাজারে 
পিছমোড়া বিধবা শুয়ো-দুয়োর রোজ কা রান্ডিরোনা এখন শিশুরও অসহ্য
রাজনন্দিনী স্ট্রেচারে আমার গিরফ্তে,পাউচ ভরছে কাতরা কাতরা প্লেটলেট-রীচ প্লাজমা 
চবুতরায় উপছা ভিড়ের কোনো আন্দাজা হবেনা আপনার
অ্যায়সি হ্যায়ভানিয়ত কি রুহ কাঁপ যায়ে 
একের পর এক মুচড়ে ফেলছি টু-ফিঙ্গার টেস্টের ঠাটানো চামচিকরি দস্তানার আঙুল --

বেনিফিট অফ ডাউট


পার্ভতী রাও  1992 ব্যাচ   চোখ আইসি কাপ্পুচিনো   টল ল্যাঙ্কি সিঙ্গল মাদার
ইল্যাং ইল্যাং তাহিতিয়ান ভ্যানিলা ম্যাসাজের সময় আমার উপুড় ডেড বডি
একবার ক্যামেরা হাতড়েছিলো তারপর বুকির ফোন এলো আর এখন
হট এয়ার বেলুন টিলটেড নারকেল প্রাংশুর ওপিঠে সূর্য গণগণে হওয়ার আগে
উড়ান আছড়ে পড়ছে জলের তবাহি বিঘাতে --
#
এমনই  কাকভোর  নুঙ্গমবক্কম খরিদ-ফরোশ
ওর  হাত  ধরে  স্পাইরাল  পিছদুয়ার  যখন  ছুটতে  শুরু  করি
গেম  বাজানোর  জন্য গোটা একটা  গিরোহ  পিছনে  ঝাঁক  ঝাঁক  বুলেট
পথে ওর মিসক্যারেজ হয়। দু বছর পর কৌঁশুলির তোতা বলছে ফোর্সড অ্যাবরশন ! 
মোজা পরানোর ভঙ্গীতে ও কীভাবে কন্ডোম পরিয়ে দেয় আর লোধ্র রেণুরা
দুহাতে আঠালো হয়ে ওঠে --স্রেফ এই দৃশ্যটুকু শ্যুট করেছিলাম
যার এম এম এস এখন হিট করছে আপনার স্মার্ট স্যামসঙ --
#
পার্ভতীকে স্ট্র্যাঙ্গুলেট করার আগে
একটা ওল্ড জ্যামাইকান রেড ওয়াইনের বটল থেকে আমরা ছোট ছোট দুটো খেলাম
দ্যাখো স্প্লিটসভিলায় তোমার লাগানো বনসাই রডোডেনড্রনে আজ  ফুল এসেছে
মালিকে বলবো টবশুদ্ধ তোমার গাড়িতে তুলে দিতে ?
এটাই বা ফেলে যাবে ক্যানো ?
ওকে, কুল, আমি পূর্বাপর সব ভুলে যাচ্ছি পারো
গুরশরণ আর সতপাল সিং কে যখনচৌপালে পিটিয়ে পুড়িয়ে মারা হচ্ছিলো তখন তুমি
কতটা কাছ থেকে সজ্জন মানুষটিকে দেখেছিলে উস্কানি দিতে ? 
গবাহি দেবে ? আমি চাইনা আল্টিমেটলি বেনিফিট অফ ডাউট হোক !
#
সেদিন স্ট্রিটলাইট ছিলোনা,আমি শুধু চিৎকার শুনেছি,কিচ্ছু দেখিনি --
#
ডার্লিং কাম অন,দুপুর দুটোর ইনসিডেন্ট এটা,তুমি নিজে বলেছ আমাকে ! 
#
ফ্লাইট মিস হয়ে যাবে এবার আমি উঠি কেমন !
#
কর্ডরা ভোকাল হলে চিরপিংয়ের লিপ-লকড্ ব্রেইল লিপিরা ভেন্য হয়
বাবুই নীড়ের মতো সম্ভ্রান্ত একেকটি গ্রীবা রোদ্দুরে ঝুলতে থাকে নাইলন ফাঁসে
তারপর একদিন সন্ধ্যা হয়, কাল্পনিক এফ আই আর লিখতে লিখতে ঘুমিয়ে পরে আততায়ী
জ্যোত্স্নার স্লেজপথের বীম-রাইজোমের নিচে
লাউঞ্জের মৃত গাছগুলির সঙ্গে ছিনাঝাপটি খ্যালে সমুদ্র হাওয়া
স্নিফার ককার-স্প্যানিয়েলরা থাবায় আঁচড় কাটেনা 
গোড়ার আলগা মাটির নিচে লাশগুলি ভেটকে ওঠে কৃমিকীট দখল-আন্দাজে --

নিক্কণ


মাইল মাইল ঝাঁকা মেঘমুটেদের কাতার ও তাদের সিঁদূরে তনহাইয়ার
ড্রিপ ড্রপ সিপেজ বাজছে পায়েলের ন্যাগিং পদঘুঙরু
অ্যালকোহল ওঠ ছুঁড়ি তোর মুকুট কিনছে শপঅ্যাহলিক
পায়েল স্ট্রাগলিং মডেল
স্বয়ারোভস্কি আউটফিটের ওয়ার্ডরোব ম্যালফাংশনকে
কোল্যাটেরাল ড্যামেজ ধরে এগোয় হৃদ
উইন্ডোজ ৮ ডাউনলোডের সময় পায়েলের কাঁচপোকারা
ল্যাহঙ্গার ঝুল-এ পা বেজে চার ভারসন তলিয়ে গিয়ে টি দেয়
সূঁচেরা এফোঁড় বিঁধে পালটি ব্রেস্ট স্ট্রোকে ফিরে আসে ফলে ক্ষতমুখ ওফোঁড় জুড়ছে
হৃদের জিভ ডগার ক্রিস ক্রস স্যালাইভার সরবিটট্রেট সেলাইকল
লিস্টেরিন গার্গলের সময় ক্যাথিটারের খানিক চিরণদাঁত খসে গেলে
সোনালী পাউচগুলি লোহিত রেতকণিকায় রোদ পোহানোর অছিলায়
রক্তমুত্রের ডারউইন চিকচিক করে --
হৃদের শুকরা এখন অ্যাসিড অ্যাটাকের পর
বাল্বের টুকরো দিয়ে বনলতার চোখের মতো অচ্ছ্দ নীড় বাঁধে
আর গাছ পেঁচিয়ে পায়েলের র্র্যাটল রুনুরঝুনুর সাপ উঠছে শাবক সন্ধানে --

ট্রপিক অফ ভার্গো


পেঁজা দিঙবারণেরা সূঁইফোঁড়ে নিঙড়া বুকনি ফুটছে পশমিনা। আইস্যোবইস্যোজন
বলতে বীথিকার ডুরে উড়িপুড়ি রোদ আর সীশোর শরাবার স্কুপ স্কুপ বালুরন্ধ্র থেকে
গা ঝাড়া দুলকি কাঁকড়া ও তাদের ফিঁয়াসে শর্মিলী। নথ আর টায়রা খোলার আঙুলের
পা পা চৌর্য সন্তর্পনে থোল থোল সীগাল মাংস উড়ে যায় পারাবার। একান্ন জিভের
বঁড়শি ডুবে মরে অনুষ্কার হেয়ারি পাফি গোস্পদে –
#
সকালে গৌরব এলো। উদ্ভ্রান্ত। চায়ে গোনাগুনতি দুচুমুক। রাম্বল টাম্বল ছুঁলো না ।
১৫ই এপ্রিলের ট্রানজিট রিপোর্টটা চাইতেই আমি প্রথমে একচোট হাসলাম, তারপর
সিরিয়াস হওয়ার ভান করে বললাম এভাবে চললে তো তুমি অসুস্থ হয়ে পরবে হে !
অষ্টম ঘর থেকে দুই ফায়ারি প্ল্যানেট মঙ্গল ও কেতুর সঙ্গে রোমান্টিক শুক্রের
কম্বাইন্ড গোচর নিঃসন্দেহে প্যাশনে চার চাঁদের আগুন। নবম থেকে বৃহস্পতি
ওল্টানো চায়ের ভাঁড় চুকিৎকিৎ ঠেলতে ঠেলতে আখ্যানকাব্যের এস ইএস বিহীন
থার্ড পার্সন সিঙ্গুলার কাৎরাকাৎরা ডেটলগন্ধী আলতা ডিঙিয়ে নিচ্ছে চৌকাঠ। শুক্র
তিনটে ন্যাচারাল ম্যালেফিকের কবলে একটা ফাংগাল নিম্ফোম্যানিয়াক স্যান্ডউইচ।
দ্বিতীয়ের রাহু -- স্ক্যান্ডালাস অ্যাফেয়ার। কিন্তু দ্যাখো, সূর্যের ক্লোজ ভিসিনিটিতে বসে
মঙ্গল আর শুক্র দুটোই কিন্তু কম্বাস্ট ! বক্রী হওয়ার ফলে শনির দৃষ্টিও ফিকা পড়ছে
অষ্টম থেকে ! আর যদি সেদিনের দশম স্থানের চাঁদটাকে ধরি তো দেখছি ওটা
পুণ্যিপুকুরে লাট খাচ্ছে পানকৌটি ! ফলে তোমার আশঙ্কা মিথ্যাও হতে পারে। আর
তা ছাড়া, তুমি নিজেই তো ফোনে বললে, সে সময় ও নাকি রজস্বলা !
#
আপনারা প্রত্যেকে ব্যাহকি ব্যাহকি বকচোদী করছেন, আলো ফেলতে পারছেন না !
পেনিট্রেটিভ সেক্স না হলেই কি সাত খুন মাফ ? আমি নিজে দীঘা যাবো। প্রয়োজনে
হোটেল ম্যানেজারকে পয়সা খাইয়ে জিজ্ঞেস করবো অনুষ্কা আর জয়ন্ত ভৌমিক
সেদিন রাত্রে রুম শেয়ার করেছিলো কি না !
#
এনেথ স্যাঁকড়ার মোহরকাটা গোধূল। জড়ো কাঠকুটোয় আগুন স্লিট হলে
ফিনকি দেয় গ্লোবিনহীম লহুলুহান পাখি। কাম্ অন্ অনু, ওঠো ! হোটেলে ফিরতে
হবে ! আমি চাই না আমাদের সম্পর্কটা নিয়ে কোনো নুক্কর বহ্যাস হোক !
#
জানে আবার কে না ! ব্রেকফাস্টের পর আমি যখন নরএথিস্টেরনের স্ট্রিপটা
ছিঁড়ছি অদিতি এসে হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে নামটা পড়েছে। তুমি আমাকে ২১
দিনের কোর্স কেনো করতে বলছো জানি না, যখন আমরা কালই রওনা হচ্ছি !
জানি না পীরিয়ডটা শুরু কতদিনে হবে আবার!
#
হুক খুলে প্রবেশিকা ব্রাউজ করি আর অস্ফুট চন্দ্রবিন্দুরা গুটকাখোর গস্তানি বিসর্গ
হয়ে ওঠে। বাঁয়ে গিয়ে টি-পয়েন্ট থেকে বাঁয়ে বামহাতি প্রথম রুমটা আই সি য়ু
পরেরটাই সাহেবান কোঠার বাইরে দেখবেন পাঁচিলে তোষকের ধুপছাঁওয়ে শচীন
কত্তার বেলাহাজ চতুর্বিংশতি বৈঠার ঢেউ, চাঁদিয়াল বিষ গ্যাঁজলায় উবু চাটতে
নেমেছে ফেউ লাগা চকরাবকরা বাঘ, পায়ের গোটানো কেন্নো উল্টি পাক খেয়ে
দাঁড়া কেঁচকির গাছে কাঠ্ঠোকরা কল্কা তুলেছে ফাক্মি ফাক্মি ফাক্মি ফাক্মি ফাক্মি ফাক্মি
ডার্লিং ফাক্ মি ---


সাপবাক্য


ট্রেন চলে গেলে যখন থ্যাঁৎলানো ইস্পাত যমজে জোছন ঝকঝক করে
গুমটির সাপযুবতীদের ড্রাগ ওভারডোজ ও ঘুঁটির ম্যাচিং বিন্দিয়ার ওপর
গড়িয়ে যায় ঘুণফোঁপরা একটি ছক্কা --

শীতে সাপ পেটিকোট কে পিস্যু, থুৎকারা চিকনি খোলশ ও মোরগফুলের
ধুনি জ্বালিয়ে স্যান্ডেলে বাতাস ফটফটিয়ে কাচ্চি গুলাবী নেরোল্যাক এলো
ভালভার মেলডি চকলেটি টাইমলাইনে --

বুড়ো সমুদ্দুরের হেমিং ওয়ে আউট ছাড়া সাপেরা যখন কোনো হানিমুন স্পট
খুঁজে পায় না আর এদিকে ভল্ভোরা ছাড়ি ছাড়ি, কাঁকই ছেঁকে ইশ্চেমিক আলো
এলো আরশিনগরে, নেউল সাজনার ট্রিন বাইসিকলের সিঁথিপথে --

ঢেলারা স্কিপিংয়ে উছাল উছাল খানিক আলগা হলে সেমিজসহ নিড়েনিতে
ফাটিয়ে ছেড়ে দিয়ে দেখছি রাজ কোব্রাদের উষ্ণীষ র‌্যাকেটে পিংপং
এ কোর্ট ও কোর্ট ধ্বজ্জিয়া উড়ছে তাদের মলেস্টেড আধর্ষপত্র --

ফেকু তক্ষকদের শ্লোগানে আজকাল হর হর প্রিফিক্স বসে না, উল্কিগুলো জীবন্ত
সাপ হয়ে আস্তিকের আস্তিন ও হোয়াটস্অ্যাপের দুধ-কলায় পাঁচ পা শিকড় চারিয়ে
যায় আর একদিন চমড়িতে দগদগ করে ওঠে কেতকা ক্ষেমানন্দর কাউন্টার ট্যাটু --

স্নেক চার্মারদের ভেঁপুর ভেতরে ব্লাডারে পেচ্ছাবের কেলাস যখন সাপেরা
অহো একেকটি চার্মিং শীতরাত ঘুমিয়ে ওঠে তাদের ল অফ ডিমিনিশিং রিটার্নস
বোঝানো যায় না, স্মোকি বাণলিঙ্গ ভেঙে পড়ে মূলাধারে --

কুলিক সেফোলজিস্টদের হেপাটাইটিস, ঝাঁপি থেকে ট্যারো কার্ড উল্টে উল্টে
চ্যানেল সামলাচ্ছে ভূঁইচিতির একগলা খ্যামটা, বালুরঘাট থেকে র‌্যাম্প খুঁজতি খুঁজতি
শেষে পেণ্ডুপাছা ব্রিগেড এয়েচো ! দিল্লী মারাগে যা, রামলীলা, যন্তরমন্তর  --




কাঁঠালপাতা


▅     টুঁটি টিপে ধরার পর কপালিনীর কফ-গার্গলের সাপ্রেসান্ট টুসিলাগো তিতির ডাকছে
      গাছেরা বিশল্য
      ডালপালার ছন্নি সিঁধ মেরে জোছন এখানে দখনে রায় ডোরা দগরা হার্পিস
      আউশময় কাত্তিকী হীম আর হাওয়ার হুলু বোঁটকা কাইনানায়
      ডেঁয়োরা মেঘ বয়ে আনছে বৃষ্টি নাবি নাবি --

▅     একটা বিচ্ছিরি স্বপ্ন দেখছিলো সর্বমঙ্গলা
      বিনোদ গোঁসাইয়ের ফের বে হচ্ছে
      চতুর্দোল ফনফনে নোলক ছাদনা নিশুতগন্ধা
      জোড়া পিঁড়ে পা-পা আলতার নিক্কণ এগুচ্ছে কপালিনী
      গোঁজ ক্যাথিটার বিছে পৈঁছা লটকা মুতথলি
      মিনসা কালসাপ বলিহারি চক্কর কুলোপানা
      শৈলজা এট্টু চা কর, মাথাটে বড্ডি ধইরেছে
      আর দ্যাখ দিনি মাগী গ্যালো কতি ?
      গোঁসাইও আলেনা আজ, মরণ !

▅     এঁড়ি গেঁড়ি রাঁড়ি খুনখুনে উপজাও গেরাম লাশ দেখছে
      দূরে-দূরে-তফাৎ যান -- একদম ভিড় বাড়াবেন্না
      পরিবার কে আছে এখানে
      দেখুন বডি পেতে পেতে দিন তিনেক লাগবেই
      বডি শহরে যাচ্ছে এনি কোয়েশ্চেন ? ওকে
      গগন নস্কর
      এইজ্ঞে
      কী করা হয় ?
      এইজ্ঞে মুই ভাগ চাষী মাই-বাপ মুই আর পুরষোত্তম আত্তিরে গাড়ু লইয়ে খ্যাতে গিয়া
      মাগীর শরীলে হুচোট খেইয়ে পড়ি তারপর দিয়াশলাই জ্বালায়া দেহি উম্মা এই কে
      ই কুইত্থিকা ....
      স্টপ ইট
      স্টপিট
      বর্গাদার কে ক্ষেতের মালিক ?
      এইজ্ঞে ভুবন পরধান   উনিরে এই পাশের গেরামে খপর গ্যাছে আসতিছেন --

▅     দাঁড়াও সমাদ্দার, খালি চোখে ল্যাসারেশনসগুলো পষ্ট হয় না।  স্পেকুলাম ঢোকানোর
      আগে ভালভার পস্টেরীয়ার মার্জিন আর পেরিনিয়ামে টলিউআইডিন ব্লু-র অ্যাকোয়েয়াস
      সলিউশন একটু তুলোয় করে লাগাও, খানিকখন শুকোতে দাও তারপর অ্যাসেটিক অ্যাসিড
      স্প্রে করো, দেখবে লিনীয়ার এরিয়াগুলো রয়াল ব্লু দাগ ধরছে মানে পজিটিভ  তখন স্ন্যাপ
      নিও। ডোনার সর্বমঙ্গলা ভলান্টারিলি যে নিজের পোস্টকয়টাল সোয়াব পাঠিয়েছেন তার
      আর ভিকটিমের সেমিনাল ট্রেসের ডিটেলটা দরকার, ফাস্ট।
      বিভাস
      বিভাস
      কোথায় যে যায়, বিভাস কে ডাকো ওর হেল্প নাও --

▅     বৃষ্টি ধরে আসে গোধূল টুইটিংয়ে
      সোঁদাল এক আখিরি যাই যাই সিঁদুরে রেগমল রোদজিহ্বায় বার্নিশ ওঠে পালং মেহগনী
      সর্বমঙ্গলার রিরি চ্যালাকাঠ গতর
      ধুতি আউঠ্যা উঠায়া দ্যাখো ছালে বাকলে রগড়ানি ঘাও
      আহা খ্যাতে লাঙ্গল দিছো গোঁসাই কত জ্বালা শরীলে
      খিড়কি পুকুরে ডুব দিয়া আসো যাও
      হিংছোঁক কলাইর ডাল আলুপোস্ত
      শৈলজা চাইরখান রুটি গরম আনিস, কাঁঠালপাতা –




ডাইন


বৈদ্যুতিন ব্রথেল নেই
ফলে ঘ্যাঙর চরকাদের কাপাসপথ আলো করে ধ্বনিরা যখন হুলু হয়
আর চিকনি নোলকদের জড়োয়া গা-পা ঝুমুরঝামর করে,
ঘুঘু সইদের কোঠার জানলা থেকে রূপকুমারীর কাঁচিকাটা চুল ও শাখামুটির
ছিলবিল ট্যাসেল খসে পড়ে লক্ষীবিলাস,
তখন ধান ছেঁচতে ছেঁচতে যোষিতদের ক্রেঙ্কার ও ভ্রূভঙ্গে লাট্টু
             ছাজ্জা ও ছপ্পর ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে তলিয়ে যাই খড় গাদার সূঁচ --
ডাইনিরা সতীন বরদাস্ত করে না
শিঞ্জিনী যখন ঝুঁকে সন্তর্পনে স্প্যাচুলায় ভীট লাগায়
কিঙ্কিণীর হাতের ক্ষুর রগড়ে তোলে ভি-প্যাডের নুনছাল
ফলে এখানে আমাদের কারুর কখনো দুদণ্ড মাই জোটে
কেউ স্রেফ বিচালি চাবিয়ে নখকেলির আছাড়ি পিছাড়ি ড়িংড়ংসায় বেড়ে উঠি
ভেঙেছো ডুয়ার্স এসেছো চা-আরকের উদ্বায়ী মেঘের ড্রিজলিং
কাঁকই থেকে আছড়া নুডলসের দুক্কুর স্নানবিন্দুরা ডাকে সোনা ওঠো !
ট্রেন কে টয় দিলে কালিমের তুলোট পং রবে ঝিকিয়ে ওঠে ধাতুপথ
শুশুকরা ড্রিবল করতে করতে যখন একেকটি স্তনাগ্রে জোনাক ঠোনা সাজিয়ে চলে যায়,
ভূস্খলনে গড়িয়ে পড়ে ভ্যালীর ভাগোরা ব্রাহ্মণকুল,পাল পাল বেতো অষ্টাবক্র খচ্চর
রিভল রিভলের দুধ কা দুধ
বার ও ইউশনের পানি কা পানি –

No comments:

Post a Comment

Facebook Comments